আজ শনিবার

৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

এখন সময়:

রাত ১:০২

মতলব উত্তরে আখের ফলনে কৃষকের হাসি

123 Views

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখে। দামও ভালো। কৃষকরা নায্যমূল্য পেয়ে দারুণ খুশি। চাঁদপুরের গেন্ডারির খ্যাতি দেশজুড়ে। তাই ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর থেকে আখ ব্যবসায়ীরা ভিড় করেন।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা আখ ব্যবসায়ীরা বিক্রি শুরু করেছেন। প্রচন্ড গরমে এর রস পেয়ে ক্রেতারা আখের দোকানগুলোয় ভিড় জমাচ্ছেন। লোকজন আত্মীয়ের বাড়ি বা নিজের বাড়িতে আখ কিনে নেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে অহরহ।

মতলব উত্তরের কলাকান্দা, জোড়খালি, হানিরপাড়, গজরা, বেগমপুর, নান্দুরকান্দি, ছোট হলদিয়া, বড় হলদিয়া, সরদারকান্দি, হাজীপুর, রাঢ়ীকান্দি, ওটারচর, নিশ্চিন্তপুরসহ কটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা এখন আখ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এমনকি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আখ ব্যবসায়ীরা এসে মিনি ট্রাক ও ট্রলারযোগে আখ নিয়ে যাচ্ছেন।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভেতরে প্রায় ২শ’ ২০ হেক্টর উঁচু জমিতে দেশি ও উন্নত জাত মিলিয়ে ৬ জাতের আখ চাষ হয়েছে। সেচ প্রকল্পের উঁচু জমিগুলো পলি ও দোঁ-আশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় আখের ফলন সবসময় ভালো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ন্যায্যমূল্য পেয়ে কৃষকরা একদিকে যেমন খুশি, তেমনি আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা। ন্যায্য দাম পেয়ে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতরে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২শ’ ২০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০৫ হেক্টর জমিতে আখ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর গেন্ডারি ৫৫ হেক্টর, সিও-২০৮ হয়েছে ২৫ হেক্টর, বিএসআরআই-৪১ হয়েছে ৫০ হেক্টর, বিএসআরআই-৪২ হয়েছে ৪৫ হেক্টর ও ঈশ্বরদী-৩৪ হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে। ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৬২ টন। সেচ প্রকল্পের উঁচু জমিগুলো পলি ও দো-আঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় আখের ফলন প্রতিবছরই ভালো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পাইকাররা শাহেন শাহ বলেন, এ অঞ্চলের আখ খুব মিষ্টি। ঢাকায় মতলবের আখের খুব চাহিদা। তাই প্রতিবছর আমি এ অঞ্চলে আখ কিনতে আসি। প্রতিটি আখ পাইকারি ৩০-৩৫ টাকা করে ক্রয় করি। ঢাকায় এনে তা পাইকারি ৪৫-৬০ টাকা বিক্রি করি। কৃষক আবুল হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো। আশা করছি ভালোই লাভ হবে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাঁদপুর গেন্ডারি, সিও-২০৮, বিএসআরআই ৪১, বিএসআরআই ৪২ ও ঈশ্বরদী-৩৪ জাতসহ ৫টি জাতের আখ চাষ হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে কৃষকরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সে জন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Share This Article
Leave a Comment

শেয়ার করুন:

শীর্ষ সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ