loader image

আজ শুক্রবার

১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

এখন সময়:

রাত ১১:৪৪

তীব্র গরম কিংবা একটু স্বস্তির খোঁজে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র

মাহফুজুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার

মাহফুজুর রহমান: ঈদের আনন্দে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবসহ নাড়ির টানে বাড়ি আসে সবাই। গ্রামের বাড়ির লোডশেডিংয়ে তীব্র গরমে ঘরে বসে থাকার একঘেয়েমি কাটিয়ে মতলবের মেঘনা নদীর পড়ে ছুটে আসে মানুষ। বিশেষ করে কোন ছুটি বা উৎসবে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র ও একলাছপুর নদীর পাড় পরিনত হয় লোকারণ্যে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ এলাকায় ভাঙন রক্ষায় ব্লক বসানো নদীর হার্ডপয়েন্ট ও ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঢল নেমেছে।

ঈদ উৎসবে ঘুরে বেড়ানো ও বিনোদন করার মতো তেমন কোনো স্থান নেই। ফলে ঈদ বা যে কোনো উৎসব এলে কর্মস্থল থেকে ছুটিতে আসা বিনোদনপ্রেমীরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে মেঘনা নদীর তীরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আসেন।

এ বছরেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে এবার ভ্রমণ পিপাসু বিনোদনপ্রেমী মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ভ্যাপসা গরমকে উপক্ষো করে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল মেঘনা নদীর তীরে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আর মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াতে।
অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, প্রেমিক-প্রমিকারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা, ভটভটি, নছিমন, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা এমনকি শ্যালো চালিত ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকায় ঈদের দিন সকাল থেকে মানুষ আসতে থাকে।

সামনে মেঘনা নদী। একটু পরেই বিশাল জলরাশি। বিকেলে পশ্চিমে সূর্যাস্ত দেখতে চমৎকার পরিবেশ। তাই এলাকাবাসী মেঘনা পাড়ের নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার।

মতলবের এখলাছপুর, মোহনপুর, আমিরাবাদ এলাকায় মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ রক্ষা করার জন্য ব্লক বসিয়ে হার্ডপয়েন্ট-গ্রোয়েন নির্মাণ করা হয়। আর এই ব্লক বসানো হার্ডপয়েন্ট মেঘনা নদীর তীর উপজেলার বিনোদনের স্পট (মিনি কক্সবাজার) হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে।

নদী ভাঙন রোধসহ এসব স্থাপনা ভ্রমণ পিপাসুদের বেড়ানোর মনোরম স্থান হিসেবে মতলবসহ আশেপাশের উপজেলা ও জেলার মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। ঈদের দিন সোমবার ও ঈদের পরেরদিন মঙ্গলবার মেঘনার তীরে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল।
সেখানে ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা ও আইসক্রিমসহ বিভিন্ন দোকানিরা অস্থায়ীভাবে পসরা সাজিয়ে বসতে ভুল করেনি। তাদের বিক্রি বেশ ভালো হওয়ায় তারাও খুব খুশি। অনেক দর্শনার্থী-বিনোদনপ্রেমীরা ট্রলারে সাউন্ড বক্স নিয়ে এসেছিল। গানের সঙ্গে নেচেছিল অনেকে।

এখলাছপুর নয়াকান্দি হার্ডপয়েন্টে ও ষাটনল লঞ্চঘাট মেঘনা নদীর পাড়ে ভ্রমণের জন্য অর্ধশতাধিক ইঞ্চিনচালিত ট্রলার ও নৌকা নিয়ে মাঝিরাও প্রস্তুত ছিল। ট্রলার কিংবা নৌকা ভাড়া করে ঝুঁকির মধ্যেও ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরে বেড়িয়েছেন।

এমনকি মেঘনা-পদ্মা পাড়ের পার্শ্ববর্তী চরগুলোতেও ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। উৎসাহ উদ্দীপনার কোনো কমতি দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। গত দুই দিন ধরে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর, মোহনপুর, ষাটনল ও আমিরাবাদ মেঘনা নদীর তীরে।

দর্শনার্থীরা বলেন, নদীর এ প্রাকৃতিক দৃশ্য, থইথই পানির দৃশ্য, সন্ধ্যার সময় মেঘনা পাড়ে এসে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য ও এমন সুন্দর খোলামেলা জায়গা আশেপাশের কোথাও নেই। তাই ভাতিজাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি।এখানে এসে খুবই ভালো লেগেছে।

তবে এখানকার পরিবেশ ভালো রাখতে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। আবার জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। তাহলে দিন দিন ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।


এদিকে সন্ধ্যার পরেও অনেককে গ্রেয়েনে ও হার্ডপয়েন্টে মেঘনা পাড়ে মুক্ত বাতাসে বসে থাকতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে সেখানে সোলার বাতি বসানো প্রয়োজন বলেও জানান অনেকে।

Leave a Comment

আজ শুক্রবার , রাত ১১:৪৪

১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ সার্চ করুন

Search

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত মতলব টুডে