চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছেংগারচর বাজারের অলি গলিতে ভ্যানে করে বাদাম বিক্রি করে সাবলম্বী হয়েছেন রনি শেখ। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এখন বেশ ভালোই সংসার চালাচ্ছেন। ৫ বছর আগে শুরু করা এই বাদাম বিক্রির ব্যবসার পূর্বে দু মুটো ভাত ও কাপড় জোগাতেই কষ্ট হতো রনির।
সম্প্রতি টাটকা গরম বাদাম, ছোলা ও শিমের বিচি বিক্রি করতে করতে নিজের সাবলম্বী হওয়ার গল্প কালবেলাকে জানান রনি শেখ নিজেই। তিনি বলেন, এই মতলব উত্তরে বাদাম বিক্রেতা হিসাবে আমাকে প্রায় সবাই চেনেন। ভ্যানে চুলা বসিয়ে বাদাম ছোলা, শিমের বিচি ভেজে তা বিক্রি করছি। সাধারণ মানুষদের কাছে প্রতিদিন এগুলো বিক্রিতে গড়ে লাভ হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
জানা যায়, বাদাম বিক্রেতা ৩৭ বয়সী রনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সন্তান। গেল ৫ বছর ধরে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের পাশে আদুরভিটি গ্রামে ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে তিনি বসবাস করেন। এখান থেকেই বিকেল ও রাত পর্যন্ত পৌরসভার ছেংগারচর বাজারের বটতলা মোড়, কলেজ রোড, থানা রোড, মধ্য বাজারে ঘুরে ঘুরে বাদাম ও ছোলা বিক্রি করেন।
ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মো. নাঈম বলেন, রনি ভাইয়ের কাছে গরম ভাজা বাদাম পাওয়া যায়। তাই অন্য কারও কাছ থেকে বাদাম নেই না। ঠান্ডা বাদামের চেয়ে গরম ভাজা বাদাম খেতেই বেশি মজা লাগে।
ছেংগারচর বাজারের ব্যবসায়ী মো. নাজিম দর্জি বলেন, সন্ধ্যায় ছেংগারচর বাজারে রনি নামের বাদাম বিক্রেতাকে পাওয়া যায়। প্রতিদিন তার কাছ থেকে ২০ টাকার বাদাম ও ১০ টাকার ছোলা কিনে নিয়ে বউ বাচ্চাসহ খাই। শীতের মৌসুমে গরম এবং টাটকা ভাজা বাদাম আর ছোলা খেতে অনেক ভালো লাগে।
বাজারের ব্যবসায়ী কামাল বলেন, প্রায় ৫ বছর যাবৎ এই বাদাম বিক্রেতা রনিকে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র অনেক ভালো। নিয়মিত তার কাছ থেকে ১০ ২০ টাকার কিছু না কিছু বাদাম ছোলা কিনে খাই। তার যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকবো।