ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তরের শহীদদের কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি ও স্থানীয় নেতারা।
এসময় উপজেলায় আমুয়াকান্দি গ্রামের শহীদ নাঈমা সুলতানা, এনায়েতনগর গ্রামের মো: পারভেজ বেপারী ও দীন ইসলাম বেপারি, গজরা গ্রামের শহীদ আরিফ বেপারী ও হাশিমপুর গ্রামের শহীদ মো: সুজন খানের পরিবারদের সাথে সাক্ষাত ও শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপি’র যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।
পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়াসহ অন্যান্য নেতারা শহীদদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুথানে যারা হাজারো মানুষকে শহীদ করেছে, যারা বিগত ১৫ বছর ধরে গুম, খুন, নির্যাতন করেছে এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে শুরু করে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। এনসিপি সদস্যরা সব সময় শহীদ পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেন, ‘শহীদদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না।
তারা আমাদের একটি স্বৈরাচারমুক্ত রাষ্ট্র দিয়েছেন। আমরা আজীবন তাদের স্মরণ করব।’
আরও পড়ুন

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মতলব উত্তর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মো নবীর হোসেন, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ ইমাদুল ইসলাম ইমাদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, মতলব দক্ষিণ সমন্বয়কারী ফরহাদ আহমেদ আলী, স্থানীয় সংগঠক মাহবুব আলম, রবিউল হাসান, খালিদ মাহমুদ, হযরত আলী নিরব, মো রিয়াদ হোসেন, মাহফুজুর রহমান রাজনসহ স্থানীয় ছাত্র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতবছর জুলাই আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অন্যদের সঙ্গে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের সাতজন শহীদ হন।