চাঁদপুর জেলার অন্যতম ও ঐতিহ্যবাহী মতলব খেয়াঘাটে শিক্ষার্থীদের টোল ফ্রি করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মিরাজ মাহমুদ জিশান।
তিনি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মতলব খেয়াঘাটের ইজারা পেয়ে ১ লা জুলাই খেয়াঘাটের কার্যক্রম নতুন উদ্যোমে চালু করেন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মিরাজ মাহমুদ জিশান বলেন, আমরা মূলত ছাত্রদল নেতবৃন্দের কল্যাণে কাজ করার উদ্দেশ্যে এই খেয়াঘাট আমার নামে ইজারা এনেছি। সেই সূত্রে সকল ছাত্র/ছাত্রীদের টোল ফ্রি করে দিয়েছি। শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোনরকম টোল ছাড়াই শুধুমাত্র নৌকা ভাড়া দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই বিশেষ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ ছাত্রদলের মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা এবং সাধারণ মানুষ এ ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই আমি উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় সকল নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে খেয়াঘাটের সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এটি একটি ভাল সুযোগ আমাদের জন্য। আমরা লেখাপড়া করা অবস্থায় রোজগার করতে পারি না। সেক্ষেত্রে খেয়াঘাটের টোল ফ্রি করে দেওয়ায় আমাদের জন্য খুবই উপকার হয়েছে। এজন্য যিনি ইজারা এনেছেন তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
এদিকে পথচারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বিগত দিন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জন প্রতি ৫ টাকা করে নিতো। কিন্তু বর্তমান ইজারাদার সরকারি ধার্য অনুযায়ী ৩ টাকা করে নিচ্ছেন। এটা খুবই ভালো। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খেয়াঘাট পরিচালিত হওয়ায় ইজারাদারকে ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে ১লা জুলাই সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের টোল ফ্রি করার খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবাই ইজারাদারের প্রশংসা করতে থাকেন।
ইজারাদারের সহযোগীয় আরো আছেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক সরকার এলিন, হাবিবুর রহমান, ৫নং উপাদি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রশিদ, সাদ্দাম হোসেন, শাহরিয়ার সেলিম, উসাদ আহমেদ জিশান, মোহন, মাসুদ প্রধান, মানিক সরকার, মিলন, পাভেল প্রমুখ।