চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ছেংগারচর বাজার থানার সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল কবির ও মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হক এসে তদন্তপূর্বক বিচারের আশ্বাস দেন। নিহত ফরহাদ জুয়েল (২৭) উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানি গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে। তার স্ত্রী এবং চার বছরের ছেলে আবু সুফিয়ান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৪ জুলাই সকালে ফরহাদ জুয়েল বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। পরদিন হাইমচর উপজেলার নীলকমল এলাকার মেঘনা নদীতে ফরহাদের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। তার শরীরের বেশ কিছু যায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ফরহাদ জুয়েলের বাবা মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এখন চাই বিচার হোক। দোষীরা যেন কোনোভাবে রেহাই না পায়।’
জুয়েলের স্ত্রী সুরভি আক্তার বলেন, ‘আমার ছোট একটা বাচ্চা আছে। সে এখন বাবাহারা। আমি শুধু বিচার চাই। আর কোনো পরিবার যেন এভাবে ভেঙে না যায়।’
নিহতের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা বিচার চাই, যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খাইরুল কবির জানান, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্দেহে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়। গুরুত্ব সহকারে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। দুপুরে জুয়েলের বাবা আবুল হাশেম ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।’