টিকটকে পরিচয়ে প্রেমের পর বরিশালের জামাল মিয়াকে বিয়ে করেছিলেন চাঁদপুরের মতলবের গৃহবধূ রূপালী বেগম। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপাদী দক্ষিণ এলাকায় নিজ বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে মিললো তার মরদেহ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন স্বামী জামাল মিয়া।
শনিবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে সেফটিক ট্যাংক হতে বিবস্ত্র মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, একাধিক বিয়ে করা বরিশালের জামাল মিয়ার সাথে টিকটকে পরিচয় হয় মতলবের রূপালী বেগমের। প্রেম থেকে বিয়েতে গড়ায় সম্পর্ক। কিন্তু বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই পারিবারিক কলহে পাঁচ সন্তানের জননী রূপালীকে জীবন দিতে হলো। রূপালী বেগম মতলব দক্ষিণের উপাদী দক্ষিণের কালু পাটোয়ারী ও মরিয়ম বেগমের সন্তান।
রূপালীর মা মরিয়ম বলেন, “মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে রাতে দেখি টয়লেটের সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা খোলা। পরে সন্দেহ হলে ওটাতে উঁকি দিয়ে দেখি মরিয়ম মরে পড়ে আছে। এরপর সবাই আমার ডাক-চিৎকারে এখানে ছুটে আসে।”
রূপালীর ভাই আলিমুদ্দিন বলেন, “আমার বোন এখানে জমি কিনে বাড়ি করে ২ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলো। সপ্তাহ দুয়েক আগে জামাল রূপালীর স্বর্ণের গহনা ও টাকা পয়সা নিয়ে পালায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরে আনা হয়। এরপর এখন এই ঘটনা। রূপালীর শরীরে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।
আমরা ধারণা করছি জামালই রূপালীকে হত্যা করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে। আমরা জামালের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ আহাম্মদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল হতে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।”