চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ফরহাদ জুয়েল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় মতলব উত্তর থানা প্রাঙ্গণের সামনে কলাকান্দা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সাতানী গ্রামের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা ফরহাদ জুয়েল হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি-ফাঁসি কার্যকর করার জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কলাকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, নিহত ফরহাদ জুয়েলের বাবা আ. হাসেম বেপারী, বড় ভাই জুবায়ের, বোন হাসিনা আক্তার, সাতানী গ্রামের কাজী বাহাউদ্দীন, আলমাস প্রধানসহ আরও অনেকে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, জুয়েলকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার পেছনে আরও অনেকেই জড়িত, যাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা চাই দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
বক্তারা আরও বলেন, একজন নিরপরাধ তরুণকে নির্মমভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার না হলে জনমনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সকালে ফরহাদ জুয়েল নিখোঁজ হন এবং পরদিন ৫ জুলাই হাইমচরের নীলকমল এলাকায় মেঘনা নদীতে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। নিহতের বাবা ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৮–১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের এক দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেছে করেছে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদাল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খাইরুল কবির বলেন, ফরহাদ জুয়েল হত্যা মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী একাট্টা হয়ে হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে বলেও ঘোষণা দেন।