মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বারোআনী গ্রামের একটি ভবন থেকে ১৮-২০ বছর বয়সী ছয় যুবককে মাদক সেবনের সময় আটক করেছে পুলিশ।
পরে আইনের ৩৪ ধারায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
যদিও আটকপ্রাপ্তদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ আটক করে টাকা না দিলে মাদক ও কিশোর গ্যাং আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় মতলব উত্তর থানা পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম ও এএসআই সাজেদুর রহমান বারোআনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
অভিযানে পুলিশ জানায়, একটি কক্ষে বসে মাদক সেবনের সময় তারা হাতে-নাতে ধরা পড়ে এবং সেখান থেকে ১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
আটক যুবকরা হলেন, পৌরসভার আহাদ, জোনায়েদ ইসলাম জুয়েল, ফাহিম, জিহাদুল ইসলাম, ফাহিম এবং আলবী রহমান আপন। তাদের প্রত্যেকের বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আটক করার পর দুই পুলিশ কর্মকর্তা থানায় ডেকে অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মাদক আইনে অথবা ‘কিশোর গ্যাং’ হিসেবে মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তারা টাকা দিতে রাজি হলে পরে ৩৪ ধারায় মামলা দিয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় আদালতে পাঠানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযানে অংশ নেওয়া এএসআই রবিউল ইসলাম ও সাজেদুর রহমান বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই অভিযান চালিয়ে ১ পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করেছি। বয়স যাচাই করে পরে স্যারদের নির্দেশে ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব (পিপিএম) বলেন, যদি কেউ মাদকের সাথে আটক হয়, তবে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিতে হবে। ওসি আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। অভিযোগের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।