চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আবারো বিষধর সাপের দংশনে এন্টিভেনম নিয়ে জীবন ফিরে পেয়েছেন সাথী আক্তার নামের এক নারী। বর্তমানে মতলব উত্তর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে জমিতে ছাগল আনতে গিয়ে বিষধর সাপের কামড়ের শিকার হন ৪০ বছর বয়সী ওই নারী। তিনি উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের মধ্য হানিরপাড় গ্রামের আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী।
জানা যায়, সাপে কামড়ের পর আক্রান্ত স্থান ক্রমশ কালো হতে থাকে তার। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে চিকিৎসকরা হাসপাতালে মজুদ রাখা ১০ ভায়াল এন্টিভেনম পুশ করলে ধীরে ধীরে সুস্থতা অনুভব করেন তিনি।
হাসপাতালের এমওডিসি ডা. মোবারক হোসেন মতলব টুডে ডটকমকে জানান, রোগীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে আমরা বিষাক্ত সাপের কামড় শনাক্ত করি। এরপর এন্টিভেনম পুশ করলে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে। গত তিন মাসে সাপে কাটা ৭০ রোগীর মধ্যে ৮ জনকে আমরা এন্টিভেনমে সুস্থ করে তুলি।
তিনি জানান, সাপে কাটলে শরীরে ধীরে ধীরে রক্ত দূষণ, মাংসপেশি অকার্যকর ও মস্তিষ্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে সাপ কামড়ালেই মৃত্যু হবে এমন ধারণা সঠিক নয়। এজন্য প্রথমে শক্ত কাপড় দিয়ে হালকা করে সাপে কাটা স্থান বাঁধতে হবে। সাপে কাটা পেশি কম নড়াচড়া করতে হবে। কারণ পেশির নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে।
বর্তমানে সাপের কামড়ের অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত এবং আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ওঝা বা বৈদ্যর কাছে নিয়ে কেবলমাত্র সময় নষ্টই হয় না, রোগীর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাই ওঝা বা কবিরাজের কাছে নিয়ে না গিয়ে সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে বিনামূল্যে ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।