জুলাই ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের দক্ষিণখান থানা এলাকার কর্মী আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে ‘জাপানি হান্নানকে’ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ্ ফারজানা হক তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল সকালে বিমানবন্দর থানার কসাইবাড়ী মোড় এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৩৫ জন মুখে মাস্ক পরে মিছিল করে। আসামিরা একত্রিত হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য ও বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন ও সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যান বলে মামলায় বলা হয়েছে।
সন্ত্রাস বিরোধ আইনে গত ২৩ এপ্রিল বিমানবন্দর থানায় ৩৮ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন এসআই মো. নাহিদ হাসান।
বিমানবন্দর থানার ওসি বলেন, জাপানি হান্নান দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।
‘জাপানি হান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় ছাত্র আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা এবং একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
উল্লেখ্য, জাপানি হান্নান ২৫ বছর আগে আইনুছবাগে ৮ কাঠা জমি কিনে থাকতে শুরু করেন। তখন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে মধ্যস্থতা করতেন। এরপর তিনি জাপানে যান। সেখান থেকে ২০০৮ সালে দেশে ফিরে ওই জমির ওপর ‘জাপানি কটেজ’ নামে পাঁচতলা একটি ভবন নির্মাণ করেন। তখন থেকেই তিনি পরিচিতি পান ‘জাপানি হান্নান’ হিসেবে। ২০১০ সালের দিকে দক্ষিণখান থানা যুবলীগের বহিষ্কৃত এক নেতার সংস্পর্শে হান্নানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উত্থান ঘটে। এর পেছনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চপদস্থ এক ব্যক্তির প্রশ্রয় ছিল।
Sign in to your account