প্রকাশের তারিখঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | প্রিন্ট এর তারিখঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৩২ অপরাহ্ণ

মতলবে গোসল করতে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

প্রতিবেদকঃ মাহফুজুর রহমান

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র মো: হামজার (৯) মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মো: হামজা উপজেলার উপাধি ইউনিয়নের উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের মো: আলমের ছেলে। সে ১৬৯ নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয়রা জানান, নিহত হামজার বাবা মো: আলম বিদেশে থাকে। দুইটা ছেলে সন্তান আলমের। শনিবার দুপুরে মো: হামজা বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। পুকুরে গোসল করতে সময় হামজা পানিতে ডুবে যায়। বন্ধুরা হামজাকে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বলে হামজা পানিতে ডুবে গেছে। তারপর নিহতের চাচাতো ভাই রনিসহ কয়েকজন পানিতে খোঁজাখোজি করে। কিছুক্ষন পর পানির নিচ থেকে হামজাকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: মোশাররফ হোসেন মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচা আলমগীর হাওলাদার কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আমার ভাইয়ের দুইটা সন্তান। হঠাৎ কি হয়ে গেলো। আল্লাহ কিভাবে আমার ভাতিজাকে নিয়ে গেলো। তিনি আরও বলেন কারো বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই। আল্লাহর আমানত আল্লাহ নিয়ে গেছে।

নিহতের নানা সোলেমান মৃধা বলেন, আমার কলিজার টুকরা ২ টা নাতি। নাতি পানিতে পড়ছে খবর শুনো দৌড়ে আসি।এসে দেখি আমার নাতি পৃথিবীতে নাই। কিভাবে এমন অল্প আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে আসলো। আল্লাহ ওরে না নিয়ে আমাকে নিলেও খুশি হইতাম। আমার নাতি সাঁতার জানে না। সাঁতার না জানার কারনে পানিতে তলিয়ে মারা গেছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই আমাদের।

নিহতের চাচাতো ভাই রনি,রাকিব বলেন, পুকুরে হামজাসহ ওর ৪/৫ জন বন্ধুরা গোসল করতেছিল। হামজার বন্ধুরা বাড়ির গিয়ে খবর দেয় হামজা পানিতে ডুবে গেছে।তারপর তারাতারি গিয়ে পুকুরে আমরা খোঁজতে শুরু করি। কিছুক্ষন খোঁজার পর হামজাকে পানির নিচে পাই। হামজাকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের মা কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আমার দুইটা মানিক রতন। আমার মানিকরতন কিভাবে আমার বুকটা খালি করে চলে গেলো।আল্লাহ আমার মানিক রতন হামজাকে ফিরিয়ে দাও। হামজারে না নিয়ে আমাকে নিয়ে যাইতা আল্লাহ।

মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জীবন চৌধুরী বলেন,খবর পেয়ে আমরা মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। মৃতের আইনগত কার্যক্রম প্রক্রীয়াধীন।