মতলব উত্তরে এসে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় কোনো জেলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন না। এ বিষয়ে জেলার সব এনজিও ও সমিতিকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যেখানে অবৈধভাবে মাছ বিক্রি হবে, সেই জায়গার মালিক ও বাজার করার সুযোগ করে দেওয়াদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে আইন প্রয়োগের চেয়ে সচেতনতা তৈরি করাই প্রধান হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার ষাটনল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান–২০২৫ বাস্তবায়ন” বিষয়ক জনসচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের জমি, ব্যবসা, সন্তান, চাকরি সবকিছুই নির্ভর করছে নদীর ওপর। নদীতে মাছ না থাকলে জীবিকা নির্বাহ করবেন কীভাবে? তাই টিকে থাকতে হলে মাছের বংশবৃদ্ধি রক্ষায় আপনাদের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও জানান, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো হবে না। নিয়ম ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, “ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। এর প্রজনন রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এবং বিসিজি চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শওকত আহমেদ।
আরও সভায় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হক প্রমুখ। আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক জেলেদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
Sign in to your account