প্রকাশের তারিখঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | প্রিন্ট এর তারিখঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ

মতলব উত্তরের মাঠজুড়ে শূন্যতা, সার সংকটে শীতেও নেই ফসল

প্রতিবেদকঃ স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় শীত মৌসুমের মাঝামাঝিতে এসেও হাজারো একর ফসলি জমি পড়ে আছে অনাবাদি। যেসব মাঠে সরিষা, ভুট্টা, আলু ও শীতকালীন সবজি থাকার কথা, সেখানে এখন খেলাধুলা আর রোদে গোবর শুকানোর দৃশ্যই বেশি দেখা যাচ্ছে।

কৃষকদের ভাষ্য, টিএসপি সারের তীব্র সংকটই এবছর আবাদ ব্যাহত হওয়ার প্রধান কারণ। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর–ডিসেম্বর তিন মাসে উপজেলায় টিএসপি সারের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন, অথচ বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৩৩৫ মেট্রিক টন।
এই সংকটের ফলে শীত মৌসুমে ৬ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে। ফলে প্রায় ৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়ে গেছে।

লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সরিষা চাষ হয়েছে মাত্র ৩০০ হেক্টরে, ভুট্টা সাড়ে ৪০০ হেক্টরে, শীতকালীন সবজি পৌনে ৫০০ হেক্টরে এবং আলু আবাদ হয়েছে মাত্র ২০০ হেক্টর জমিতে।

সারের ডিলাররা জানান, মাসে যে পরিমাণ টিএসপি সার পেয়েছেন, তা কৃষকদের একদিনের চাহিদাও মেটাতে পারেনি। অপরদিকে কৃষকদের অভিযোগ, সংকটের সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী সরকারি ১ হাজার ৩৫০ টাকার সার ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল বলেন, “মতলব অঞ্চলের মাটির উর্বরতা কম। টিএসপি ছাড়া এখানে ভালো ফলন সম্ভব নয়।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সল মোহাম্মদ আলী সার বরাদ্দ কম পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও দাবি করেন, উপজেলায় টিএসপি সারের সংকট নেই। তবে মাঠের বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা, ফসলের বদলে শীতের মাঠজুড়ে এখন শুধু শূন্যতা।