নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষকদের একটি পরিচিত পুষ্টিকর ফসল মধ্য আয়ুর তিলই বেশি চাষ করা হয়। তিলের অনেক গুন রয়েছে। তিলের চাষ আগের মতো আর তেমন হয়না। নানা করনে হারিয়ে যাচ্ছে এই ফসল। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এখনো কিছু কিছু এলাকায় তিল চাষ হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তিল চাষে অনিহার কারণ। তারা বলছে বর্তমানে ভুট্টা চাষে লাভবান বেশি হওয়া অনেকেই তিল চাষের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করছে।
উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা জয়পুর গ্রামের চাষী কাদের মিয়া বলেন, তিনি গত ৪ বছর ধরে তিলের আবাদ করছেন। এবারও করেছেন ২ বিঘা জমিতে। তাকে দেখে এ গ্রামের অনেকেই এখন তিল চাষ শুরু করেছেন। তিল চাষে রাসায়নিক সার ও জমি নিড়ানির দরকার হয় না। সামান্য শ্রম ও অল্প খরচে প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ মণ ফলন আসে।
ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, আসলে তিল অত্যান্ত উপকারী একটি ফলন। যদিও কালের বিবর্তণে ন্যায্য মূল্যে না পাওয়ার কারনে তিল চাষের আবাদ করছেনা কৃষকরা। তবে আমি আমার স্বল্প জায়গায় এবার তিল চাষের আবাদ করেছি, আশা করছি সফলতার মূখ দেখতে পাবো।
চিকিৎসকরা বলছেন, তিলে রয়েছে অনেক উপকারীতা। ঘা বা ক্ষত স্থনে তিল পিষে মধু ও ঘি মিশিয়ে লাগালে ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেয়। তিল পাতার টাটকা রস খেলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়ে যায়। তিলের তেল পেটে মালিশ করলে পেটের ব্যাথা সারে এবং গ্যাস কমে। তিল পিষে ন সকালবেলা একমুঠো তিল চিবিয়ে খেলে অর্শের উপশম হয়।
শরীরের পুষ্টি রক্ষার জন্য প্রতিদিন ৮০ গ্রাম তিল বেটে সেটা প্রতিদিন সকালে একবার করে খেতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিট বাদে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের পুষ্টির অভার দূর হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ. আলী জানান আলী জানান, তিল চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। এবার মতলব উত্তরে ২৩ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ মেট্রিকটন, অর্জনও হয়েছে ২৩ মেট্রিক টন। অর্থাৎ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।