আজ শনিবার

৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

এখন সময়:

দুপুর ১২:০০

দুবাইয়ে পড়ে আছে মতলবের সবুজের লাশ,স্বজনদের আহাজারি

285 Views

‘লাশের অপেক্ষায় চোখ ঝাপসা অইয়া গেছে, তবু আসতেছে না। ছেলের লাশটা আইন্না দেও। শেষবারের মতোন ছেলেডার মুখ এট্টু দেখতে চাই।’

কাঁদতে কাঁদতে এভাবেই নিজের আকুতি জানাচ্ছিলেন পারুল বেগম। তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালের মর্গে প্রায় এক মাস ধরে তাঁর ছেলে মো. সবুজের (৩৬) লাশ পড়ে আছে। তবে নানা জটিলতায় সেখান থেকে লাশটি আনতে পারছেন না।

সবুজের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছোট দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি একই গ্রামের মৃত আমছর আলী ও পারুল বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। প্রায় দুই বছর আগে দুবাই শহরের পাড়ি জমান সবুজ। সেখানে তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। চলতি বছরের ২২ আগস্ট নিজের ভাড়া বাসার সামনে দুর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাতে তিনি খুন হন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় সেখানকার এক প্রবাসীর সঙ্গে টাকার লেনদেন নিয়ে সবুজের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সবুজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সবুজ। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সেখানকার একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এখনো সেখানেই পড়ে আছে লাশটি। এ ঘটনায় সেখানকার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। এ মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

সবুজের বড় ভাই সুলতান মিজি বলেন, তাঁর ভাইয়ের লাশ আনার জন্য দুই দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মামলা মীমাংসা না হওয়ার পাশাপাশি নানা প্রক্রিয়াগত ও আইনগত জটিলতায় লাশটি আনতে দেরি হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটির অপেক্ষায় হাঁপিয়ে উঠছেন। তাঁর মা, সবুজের স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে কিছুতেই সান্ত্বনা দেওয়া না। লাশটি দ্রুত আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

সবুজের স্ত্রী রিভা আক্তার (২৫) বলেন, তাঁদের শিশু সন্তানটি বারবার বাবার কথা জানতে চায়। কিন্তু ছেলেটির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না। সামনে অন্ধকার দেখছেন। স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে লাশটি দ্রুত বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Share This Article
Leave a Comment

শেয়ার করুন:

শীর্ষ সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ