চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার যুবক মো. সবুজ (৩৬)। জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন স্বপ্নের দুবাই। কিন্তু সেই প্রবাস জীবনেই নির্মম হত্যার শিকার হয়ে দেশে ফিরলেন নিথর দেহ হয়ে।
নিহত সবুজ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ছোট দুর্গাপুর মিয়াজি বাড়ির মৃত আমছর আলীর ছেলে। এদিকে, তার অকাল মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে সবুজের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে মুহূর্তেই কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনরা। প্রবাসে নিহত সবুজকে শেষবারের মতো দেখতে গ্রামের শত শত মানুষ ছুটে আসেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আজমান কেরামা এলাকায় ওমান প্রবাসীর হাতে খুন হন সবুজ। প্রায় এক মাস কাগজপত্র ও আইনি প্রক্রিয়ার জটিলতায় মরদেহ পড়ে ছিল বিদেশের মাটিতে। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে আসে তার মরদেহ।
ঘটনার দিন সবুজ তার ভাড়া বাসায় থাকা এক ওমানির কাছে বকেয়া ভাড়া চাইতে গেলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি সবুজের মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে, সবুজের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকাবাসীর ভাষ্য সবুজ ছিলেন প্রাণবন্ত ও পরিশ্রমী। তার অকাল মৃত্যু পরিবার ও সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
সবুজের মা পারুল বেগম জানান, আমার ছেলেটা কষ্ট করে সংসার চালাতে বিদেশে গিয়েছিল। জানতাম একদিন স্বপ্ন পূরণ করে ফিরবে, কিন্তু আজ সে লাশ হয়ে ফিরলো। আমি এখন কার দিকে তাকাবো?
নিহতের স্ত্রী রীমা জানান, আমার ১০ বছরের ছেলে বাইজিদ বাবার জন্য কাঁদছে। সে এখন বাবা হারা হয়ে গেল। আমাদের জীবনে অন্ধকার নেমে এল।