চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে চরাঞ্চলবাসীর জন্য আর্শীবাদ। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলের নিয়ামক হয়ে উঠবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বোরচরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষে স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক জোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেজা চায় সবার সহযোগিতা নিয়ে পরিকল্পিত উন্নয়ন হোক। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠলে ব্যবসা ও অর্থনীতি জীবন ফিরে পাবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থানের বিশাল ক্ষেত্র। এগুলো একে একে বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য তা হবে আশীর্বাদস্বরূপ।
তিনি ভূমি মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বেজা’র চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ প্রকৃত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। এককথায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হবে ।
তিনি আরো বলেন, সকলের সহযোগিতা নিয়েই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের আশপাশের রাস্তা এইচবিবি (হেরিং বন্ড বন) দ্বারা নির্মিত হবে। আপনারা শতভাগ নিশ্চিত থাকবেন ক্ষতিপূরণ বা পূর্ণবাসন প্রাপ্তি নিশ্চিত হলেই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দৃশ্যমান হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনির সভাপতিত্বে ও ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালীর পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেড মো. নাজমুল শাহাদাত ফাইম, সহকারী কমিশনার ভুমি হিল্লোল চাকমা, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হক, চায়না পাওয়ার প্রতিনিধি মিষ্টার জংহেং চায়না, বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউর রহমান, সার্ভেয়ার তনচঙ্গা, আমিরাবাদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তানজির আহম্মেদ, ভূমি মালিকদের পক্ষে বজলু দেওয়ান, মো, জসিমউদ্দিন, ছিদ্দিক বকাউল। এ সময় চরাঞ্চলের শত শত জনগন উপস্থিত ছিলেন।