মতলব উত্তরে মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে ফের ড্রেজার দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে মেঘনা-ধনাগোদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
রোববার থেকে উপজেলার মেঘনা নদী এলাকার দশানী, ষাটনল, নাছিরা কান্দি, বোরচর এলাকায় প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলতে দেখা যায়। এসময় স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু সন্ত্রাসী কিবরিয়া মিয়াজি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দিনরাত মেশিন বসিয়ে বালু তোলে। নদীর পাড় ধসে আমাদের ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বেরিবাদ যদি ভেঙে যায়, তাহলে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। অথচ কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আরেক বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনকে বারবার জানালেও কোনো ফল পাইনি। মনে হয় বালু সিন্ডিকেটের কাছে প্রশাসন জিম্মি।
সচেতন মহল মনে করছেন, বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন অবৈধভাবে ড্রেজার চলছে। এটি কেবল নদীভাঙন বাড়াচ্ছে না, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, মতলব উত্তরের সীমানায় অবৈধভাবে বাল উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান রেখেছি।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা অচিরেই যৌথ বাহিনীর একটি অভিযান পরিচালনা করবো।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কেউ পার পাবে না। এতে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে লাখো মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।